IQNA

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে সৌদি-মার্কিন নয়া ষড়যন্ত্র

22:03 - December 17, 2017
সংবাদ: 2604578
আন্তর্জাতিক ডেস্ক সৌদি আরব এক হাজার কোটি ডলারের বিনিময়ে জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে বিক্রি করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে একটি আরবি নিউজ ওয়েবসাইট এ খবর দিয়েছে ।

 
বার্তা সংস্থা ইকনা: খবরে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিক্রির চুক্তিতে রাজি হওয়ার জন্য স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন।

মার্কিন গবেষক জেফরি আর্নসনের তৈরি করা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মাহমুদ আব্বাসকে এক হাজার কোটি ডলারের বিনিময়ে জেরুজালেমসহ গোটা পশ্চিম তীর বিক্রি করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, মোহাম্মাদ বিন সালমান মাহমুদ আব্বাসকে বলেছেন, এখন পরিকল্পনা ‘বি’ বাস্তবায়নের সময় এসেছে। এই পরিকল্পনায় শুধুমাত্র গাজা উপত্যকা নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে। গাজার সম্ভাব্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে সিনাই উপত্যকার অবাধ যাতায়াতের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন জেরুজালেমকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন তখন সৌদি যুবরাজ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। গত মে মাসে ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের সময় এই ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করা হয়। ওই সফরে ট্রাম্প রিয়াদের সঙ্গে ৫০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করেন এবং রাজা সালমানের সঙ্গে তরবারি হাতে নিয়ে নাচানাচি করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ওয়াশিংটন ও রিয়াদের এ ষড়যন্ত্রকে ফিলিস্তিন ধ্বংস করার সবচেয়ে বড় অভিযান বলে মনে করছেন।

সৌদি সরকার মাহমুদ আব্বাসের ওপর এই মর্মে চাপ সৃষ্টি করেছে যে, হয় ট্রাম্পের বিতর্কিত ঘোষণা মেনে নিন অথবা স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ইহুদিবাদী ইসরাইল নীল নদ থেকে ফোরত পর্যন্ত নিজের সীমানা বিস্তৃত করার যে স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছিল আমেরিকা ও সৌদি আরব তা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিচ্ছে।

ফিলিস্তিনের ইতিহাসে এ ধরনের অসংখ্য বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা ঘটেছে। ২০০২ সালে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আরব শান্তি পরিকল্পনা নামে যে পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয় তাতে ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ এলাকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সৌদি আরব এমন সময় মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান ইহুদিবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনায় যুক্ত হয়েছে যখন সে নিজেকে প্রথম দু’টি পবিত্র স্থানের খাদেম বলে মনে করে। পার্সটুডে

captcha