IQNA

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ;

বিগত দুই মাসে মুসলমানদের ৪০টি গ্রাম পুড়িয়েছে মিয়ানমার

12:34 - December 18, 2017
সংবাদ: 2604585
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণের পর যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের ৪০টি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে।

বিগত দুই মাসে মুসলমানদের ৪০টি গ্রাম পুড়িয়েছে মিয়ানমার

বার্তা সংস্থা ইকনা: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের মংডু, বুথিডাং আর রাথিডাং শহরে আশেপাশের ১০০০ গ্রামের ওপর স্যাটেলাইটের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ বছর ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এসব গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।

উপগ্রহ ছবিগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ যে সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সমঝোতা সই করেছিল, তখনও ঘরবাড়ি পোড়ানো হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে ওই সমঝোতা সই হয় ২৩ নভেম্বর। আর ২৫ নভেম্বর উপগ্রহ তথ্য-উপাত্ত রাখাইন রাজ্যের মংদু এলাকার মিও মি চ্যাং গ্রামে বাড়িঘরে আগুন শনাক্ত করে। ২৫ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে চারটি গ্রাম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলছেন, 'সমঝোতা স্মারকে সইয়ের সময়েও রাখাইন গ্রামে বার্মার সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো থেকে এটাই প্রমাণ হয়, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার এই প্রতিশ্রুতি স্রেফ একটি প্রচারণা। রোহিঙ্গা গ্রামগুলো ধ্বংসের যেসব অভিযোগ বার্মার সেনাবাহিনী অস্বীকার করে আসছে, সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে এসব স্যাটেলাইট ছবি।'

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, আগস্ট থেকে রাখাইনে শুরু করা এই অভিযানের সময় বার্মার সেনাবাহিনী হত্যা, ধর্ষণ, গ্রেপ্তার আর ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড চালিয়েছে। জাতিগত নির্মূলের এই অভিযান মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গেই সমতুল্য বলে সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠান মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) বলেছে, মিয়ানমারে আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর এক মাসে অন্তত ৯ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর কারণ সহিংসতা, যার মধ্যে পাঁচ অথবা তার চেয়ে কম বয়সের শিশু ছিল ৭৩০ জন।

 iqna

 

 

 

captcha