বার্তা সংস্থা ইকনা: মোসুলের "আন-নুরী" জামে মসজিদ এবং ঐতিহাসিক "হুদাবা" মিনার পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার দিনে ইরাকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের (ইউনেস্কো) প্রতিনিধি "লুইস হ্যাকস্টওয়ে" এবং নেইনাওয়া প্রদেশের আহলে সুন্নতের এন্ডোমেন্টের পরিচালক "আবু বাকর কানয়ান" উপস্থিত ছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তায় 'হুদাবা" মিনার এবং "আন-নুরী" জামে মসজিদের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে পুনর্নির্মাণ কারা হচ্ছে। পুনর্নির্মাণ করতে তিন বছর সময় লাগবে।
পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার প্রথম দিনে নেইনাওয়া প্রদেশের আহলে সুন্নতের এন্ডোমেন্টের পরিচালক "আবু বাকর কানয়ান" বলেন: ঐতিহাসিক হুদাবা মিনার পুনর্নির্মাণ করা হবে এবং নতুন একটি মিনারও নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও জামে মসজিদের সম্প্রসারণ করা হবে।
ইরাকের ঐতিহাসিক মসজিদের মধ্যে আন-নুরী জামে মসজিদ একটি। এই মসজিদটি মোসুলের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই মসজিদটি ৬ষ্ঠ হিজরীতে নুরুদ্দিন জাঙ্গী (জঙ্গিয়ান শাসনামলের তুর্কি শাসক) নির্মাণ করেন। মসজিদটির বয়স প্রায় ৯ শত বছর।
এই মসজিদের মিনারটি মোসুলের ঐতিহাসিক মিনার। ২০১৭ সালে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ এই মসজিদটি ধ্বংস করেছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েক বার মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৪৪ সালে এই পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
iqna