IQNA

ইসলাম প্রচারে ব্রিটিশ নওমুসলিমের অবিশ্বাস্য সাফল্য

0:01 - July 05, 2022
সংবাদ: 3472087
তেহরান (ইকনা):  অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সত্য। গত (১ জুলাই ২০২২) শুক্রবার ব্রিটিশ নওমুসলিম আবদুর রহিম গ্রিনের দাওয়াতে মালাবির দুই শ অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছে। ইসলাম গ্রহণের আগে তাঁর নাম ছিল অ্যান্থনি ফ্যাটসাউফ গালভিন গ্রিন। তিনি ১ জানুয়ারি ১৯৬২ জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৮ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর তিনি সরাসরি দাওয়াতের কাজে জড়িয়ে পড়েন। ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তিনি পবিত্র কোরআন হিফজ করেন।
ইসলাম প্রচারে তাঁর এই অভাবনীয় সাফল্যের কথা তিনি নিজেই সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। ১ জুলাই তিনি তাঁর ভেরিফায়েড পেজে (Abdurraheem Green) একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে তিনি দুই অমুসলিমের ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন এবং তাতে কিছু মানুষকে সমবেত অবস্থায় দেখা যায়। যাদের ভেতর থেকে ইসলাম গ্রহণকারীদের নাম উচ্চারণ করা হচ্ছিল।
 
লন্ডনপ্রবাসী বিশিষ্ট বাংলাদেশি আলেম শায়খ মাহমুদুল হাসান নিজের ফেসবুক পেজে আবদুর রহমান গ্রিনের ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, সেদিন সকালে মালাবিতে আমি তাঁকে বিমান থেকে নেমে আসতে দেখেছি। এরপর গ্রামে পৌঁছার পর তাঁকে জুমার খুতবা দিতে দেখলাম। জুমার পর দেখলাম গ্রামের মানুষদের ইসলামের দাওয়াত দিতে। অতঃপর দিনশেষে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় দেখলাম। একটু আগে দেখলাম তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে ঘোষণা দিচ্ছেন ২০০ জন ইসলাম গ্রহণ করেছে। তারা কলেমায়ে শাহাদাত পাঠ করেছে ও অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথ খুঁজে পেয়েছে। বিস্ময়কর মনে হলেও সব কিছু মাত্র এক দিনেই ঘটেছে। আশ্চর্যরকমভাবে একসঙ্গে ‘এ তো কাজের কাজি’ এই ব্যক্তি একজন ব্রিটিশ।
 
তিনি আরো লেখেন, আবদুর রহমান গ্রিন তাঁর বাকি জীবন ইসলাম প্রচারে এবং গরিব-এতিমদের সাহায্য করে কাটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই উপলক্ষে এক দেশ থেকে আরেক দেশ, আলোচনা-বক্তৃতা থেকে বিতর্ক অনুষ্ঠান; সেখান থেকে দরস-পাঠ ও খুতবা-দাওয়াত ইত্যাদির ময়দানে অবিরত ছুটে চলছেন।
 
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার স্থলবেষ্টিত দেশ মালাবির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের নানা উদ্যোগ সেখানে লক্ষণীয়, বিপরীতে মুসলিম বৈরী পরিবেশে বসবাস করে। তার পরও ইসলাম দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। দেশটির ইসলামী সেবা সংস্থা ও সংগঠনের দেওয়া তথ্য মতে, স্থানীয় মুসলিমদের সংখ্যা অতি অল্প সময়ে শতকরা ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
captcha