প্রতিষ্ঠানটি এমন সময় এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করল যখন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী আমেরিকায় গতকাল মঙ্গলবার ২,২০০ জনের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যদিও করোনার কারণে অচলাবস্থার মুখে পড়া অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে দেশটিতে এরইমধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে হার্ভাড গবেষকরা তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, "আমেরিকায় জটিল স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় উন্নতি না ঘটা পর্যন্ত কিংবা করানাভাইরাসের টিকা বের না হওয়া পর্যন্ত এখানে অনিয়মিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।" এছাড়া গবেষকরা দক্ষিণ কোরিয় এবং সিঙ্গাপুরের উদাহরণ তুলে ধরে আরো বলেন, কার্যকর সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ কমাতে পারে এবং এর মাধ্যমে সংক্রমণ ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্ণিত করে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখাও সহজ হবে।
এছাড়া নিবন্ধে এও স্বীকার করা হয়েছে যে, চলমান সামাজিক দূরত্ব দীর্ঘ মেয়াদের জন্য বজায় থাকলে তা অর্থনৈতিক কার্যক্রম, সামাজিক এবং শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, আপাতত দৃষ্টিতে নির্মূল হয়ে পড়া সার্স-কোভিড-২ ভাইরাসের ওপরও নজরদারি বজায় রাখা উচিত। কারণ ২০২৪ সালের শেষের দিকে ভয়াবহ এই ভাইরাস আবার ফিরে আসতে পারে।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো 'অবশ্যই' সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায় নি। অর্থাৎ এ ভাইরাসের তাণ্ডব আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ১৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ।
সূত্র:parstoday