বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম সাদিক (আ.) -এর সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হলে তাঁর সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা প্রয়োজন। ৩৪ বছরের ইমামতিকালে ইমাম সাদিক (আ.) সর্বমোট ৭ জন শাসকের শাসনকাল দেখেছেন। এদের মধ্যে ৫ জন হলো উমাইয়া শাসক আর ২ জন আব্বাসীয়।
আমরা ইমাম মাহদীর(আ.) অন্তর্ধানের প্রকৃত দর্শন সম্পর্কে অবহিত নই। তবে হাদিসে যে সকল কারণ বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে জনগণ, একটি ইমাম মাহদীর(আ.) নিজেই, কিছু হচ্ছে বেয়সাতের দর্শন, আর এমন কিছু আছে যা আমাদের পক্ষে অনুধাবন করা অসম্ভব।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: মহান আল্লাহ এমনকি কাফের ও খারাপ লোকদের মধ্যেও কিছু ভাল মানুষ রেখেছেন যারা পরবর্তীতে ইমাম মাহদীর অনুসারী এবং সাহায্যকারী হবে। যেমন হযরত আলী(আ.) তার শত্রুদের মধ্যে অনেককেই হত্যা করেন নি, কারণ ভবিষ্যতে তাদের বংশে ভাল মানুষ তৈরি হবে, যারা ইমাম মাহদীকে(আ.) সাহায্য করবেন।
তিনি বলেছেন: উপযুক্ত সংখ্যক সাহায্যকারী প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ইমাম মাহদী(আ.) আবির্ভূত হবেন না। কেননা তিনি আবির্ভূত হয়ে তাঁর সাহায্যকারীদের মাধ্যমে ইসলামের সকল শত্রুদেরকে ধ্বংস করবেন।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.)আরও বলেছেন: ইমাম মাহদী(আ.) তার আবির্ভাবের পর তার অন্তর্ধানের দর্শন সম্পর্কে বলবেন যে, আমি যখন তোমদের থেকে নিরাশ হয়েছিলাম এবং তোমরা আমাকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল তখন আমি তোমাদের হাত থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় নিয়েছিলাম।
শিয়া মাজহাব ইমাম জাফর সাদিকের (আ) জ্ঞান থেকে বিরতিহীনভাবে গ্রহণ করে হৃষ্টপুষ্ট ও সমৃদ্ধ হয়েছে, আর এ কারণে শিয়া মাজহাব 'জাফরি মাজহাব' হিসেবেও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এই খ্যাতি থেকেই প্রমাণিত হয় যে আহলে বাইতের পরিচিতি ও সংস্কৃতিকে সুবিন্যস্ত এবং পরিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাপক ভূমিকা ছিল।