বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তি স্থাপন হয় ১৯০২ তথা সেদেশের রামায়ের পঞ্চম চুলা বাদশার রাজত্বকালে। দেশটির প্রথম আইন অনুষদ হিসেবে এটি চালু হয়। অনুষদটি চালু হওয়ার পর মেডিসিন, জনপ্রশাসন এবং প্রকৌশলী অনুষদও প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর রামায়ের ষষ্ঠ বাদশার নির্দেশে ১৯১৭ সালে এসকল প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করা হয় এবং সমন্বয়কৃত এই কমপ্লেক্সের নামা ষষ্ঠ রামায়ের পিতা নামে তথা 'চুলালাঙ্কুরুন' (রামায়ের পঞ্চম বাদশাহ) নামকরণ করা হয়।
১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এটি থাইল্যান্ডের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। থাইল্যান্ডের গণতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটে ১৯৩২ সালে। গণতান্ত্রিক বিপ্লবের ২ বছর পর রাজনৈতিক শিক্ষা জোরদার করার জন্য টমাস বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালে মধ্যে থাইল্যান্ডে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, কৃষি এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের উন্নতির অনুভব করে দেশটি। এজন্য সেদেশের অন্যান্য প্রদেশ ও শহরে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়।
'চুলালাঙ্কুরুন' বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ব্যবস্থার দিক থেকে দীর্ঘ দিন ধরে থাইল্যান্ডের শীর্ষ স্থানে রয়েছে। রেটিং উপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালে বিশ্বের ২০০টি শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থাইল্যান্ডের 'চুলালাঙ্কুরুন' বিশ্ববিদ্যালয় একটি।
হালাল রিসার্চ সেন্টার
'চুলালাঙ্কুরুন' বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে হালাল রিসার্চ সেন্টার। হালাল শিল্পের মৌলিক কাজগুলো উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা কেন্দ্রে করা হয়ে থাকে। কেন্দ্রের সাধারণ কার্যকলাপ নিম্নলিখিত বিভাগে বিভক্ত করা হয়:
- স্ট্যান্ডার্ড মান নিয়ন্ত্রণ এবং সলভেন্টস্
- হালাল ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বিভাগ
- হালাল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়ন
- হালাল পণ্য ভোক্তাদের অধিকার রক্ষণ
- হালাল খাদ্য পণ্য প্রোটেকটিং
- হালাল শিল্প শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেবা