শেখ হেফজি আবু আসিনিনা আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, ইহুদিবাদী ইসরাইলি দখলদার সেনারা ইহুদিদের ধর্মীয় ছায়েই সারাহ উৎসবের জন্য শুধু তাদেরই ওই মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এ সময় মুসলিমদের সেখানে নামাজ আদায়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরো জানান, ইবরাহিমি মসজিদ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে এবং শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। দখলদার ইসরাইলের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব পালনের সময় ইসরাইলি সেনারা বছরে ১০ দিন ওই মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে রাখে।
ইহুদি এবং মুসলিম উভয় ধর্মের অনুসারীদের কাছে ইবরাহিমি মসজিদ একটি পবিত্র স্থান। এই মসজিদ প্রাঙ্গণেই হযরত ইবরাহিম (আ.), হযরত ইসহাক (আ.), হযরত ইয়াকুব (আ.) ও হযরত ইউসুফ (আ.)-এর কবর রয়েছে। ২০১৭ সালে মসজিদটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো।
১৯৯৪ সালে এক ইহুদি দখলদারের হাতে মসজিদের ভেতরে মর্মান্তিকভাবে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এরপর ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ মসজিদ প্রাঙ্গণ মুসলিম ও ইহুদি দখলদারদের মধ্যে ভাগ করে দেয়।
ইবরাহিমি মসজিদ সংলগ্ন হেবরন শহরে এক লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি মুসলিম বসবাস করে এবং ইহুদি দখলদার রয়েছে পাঁচ শর মতো।
উল্লেখ্য যে, হেবরনের পুরানো আবাসিক এলাকায় প্রায় ৪০০ ইহুদি বসবাস করে। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, মাত্র ৪০০ ইহুদির নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এই এলাকায় ১৫০০ ইসরাইলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। iqna