ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা’র পুলিশ গত বুধবার ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরির রিলিজিয়ন বুথে ইসলামিক বই ছেড়া এবং পবিত্র কুরআনের অবমাননা করার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তাকে গ্রেপ্তারের আগে, ইসলামিক-আমেরিকান রিলেশন্স কাউন্সিল ঘটনাটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছে: এই প্যাভিলিয়ন, যা মুসলিম ছাত্ররা নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবহার করত, ক্যাম্পাসে ছাত্রদের বিশ্রাম এবং সুচিন্তা করার জন্য একটি সুপরিচিত স্থান।
ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনও সোশ্যাল মিডিয়ায় আরবি বইয়ের পোড়া ও ছেঁড়া পাতা এবং লাইব্রেরির ক্ষতির ছবি পোস্ট করেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী তাকে বই এবং ম্যাগাজিন ছিঁড়তে দেখে এবং তার অভিযোগের ফলে বৃহস্পতিবার ৯ই ডিসেম্বর পুলিশ ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে৷ পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক বই নষ্ট করার জন্য ওই ব্যক্তিই দায়ী।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি পূর্বে মাদকের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষা পরিচালক সাশা আল-দিন বলেছেন, অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার ফলে মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা স্বস্তি পেয়েছেন এবং প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহীত পবিত্র কুরআনের ছেড়া পৃষ্ঠাসমূহের প্রতি সম্মানের সহিত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে পুলিশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অ্যারিজোনা স্টেট পুলিশের মুখপাত্র অ্যাডাম ওল্ফ বলেছেন, অ্যারিজোনা আইন ঘৃণামূলক অপরাধকে সমর্থন করে না।
উলফ আরও বলেছেন যে, এই পর্যায়ে আমরা এখনও এই ঘটনার উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। iqna